পঁচিশে বৈশাখ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০তম জন্মবার্ষিকী। করোনা মহামারির কারণে এবারও কবির স্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়ার শিলাইদহে সরাসরি কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন নেই।
প্রতি বছর ২৫ বৈশাখ শিলাইদহের রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান হতো। বসত মেলা। এতে রবীন্দ্রভক্তদের ঢল নামত। করোনা মহামারির কারণে গত বছরও এখানে অনুষ্ঠান হয়নি। এবারও একই অবস্থা। আয়োজন নেই কোনো অনুষ্ঠানের।
শিলাইদহ কুঠিবাড়ির কাস্টোডিয়ান মুখলেচুর রহমান জানান, করোনার কারণে বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন করবে না বলে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামীতে করোনামুক্ত সুন্দর দিন ফিরলে আবারও রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী আয়োজন করা হবে।
১৮৯১ সালে নদীয়া, পাবনা, রাজশাহী ও উড়িষ্যার জমিদারি তদারকি শুরু করেন রবীন্দ্রনাথ। সেই সুবাদে কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে তিনি দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন। গীতাঞ্জলিসহ তার জীবনের উল্লেখযোগ্য সাহিত্য রচনা হয়েছে এই শিলাইদহে।
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সরওয়ার মুর্শেদ রতন বলেন, ‘করোনায় সারা পৃথিবীর মানুষই সংকটে পড়েছে। এই সংকটে অনুষ্ঠান না করতে পারলেও আমরা মানবতাবাদী রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করতে পারি। জমিদারি চালাতে এসে রবীন্দ্রনাথ কৃষির উন্নয়নের সঙ্গে কৃষকের মনেরও উন্নয়ন করেছেন। রবীন্দ্রনাথের মানবতার শিক্ষা নিয়ে বর্তমানের সংকটে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি।’
স্থানীয় ক্ষুদ্র শিল্প ও মেলার উপকরণের ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘দর্শনার্থী না থাকায় অনেকেই পেশা বদলাতে বাধ্য হচ্ছেন।’
কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে ১২৬৮ বঙ্গাব্দে পঁচিশে বৈশাখ জন্মগ্রহণ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯১৩ সালে কবিগুরুর নোবেল পুরস্কার জয় বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বসাহিত্যের মর্যাদা এনে দেয়। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের রচয়িতাও তিনি।